
সীতাকুন্ড প্রতিনিধি
সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে সীতাকুণ্ড উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে আহত নেতা-কর্মীদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি ফিরোজ আলম মোল্লা বলেন, সম্মেলন শুরুর পর সামনে বসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানায়, ৭ বছর পর অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এমপি দিদারুল আলম গ্রুপ ও উপজেলা চেয়ারম্যান মামুন গ্রুপের মধ্যে সকাল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। সকাল থেকে মঞ্চ দখল করতে গ্রুপে গ্রুপে নেতা-কর্মীরা মাঠে প্রবেশ করতে থাকে। সামনের চেয়ার দখলকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন। সম্মেলন উদ্বোধন করেন রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সীতাকুণ্ড-৪ আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম।
এদিকে সম্মেলন শুরু হওয়ার ১৫ মিনিটের মাথায় সংঘর্ষের কারণে তিনজন সভাপতি পদ প্রার্থী ও তিনজন সাধারণ সম্পাদক পদ প্রার্থীদের নিয়ে সমঝোতায় বসেন অতিথিরা। এতে আবদুল্লাহ আল বাকের ভূইয়াকে সভাপতি এবং উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুনকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
সংঘর্ষের ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
এদিকে বাকের ও মামুনকে যথাক্রমে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা দেয়ার পর জেলা পরিষদ হল রুম থেকে এমপি দিদারুল আলম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা ‘এ কমিটি মানি না, মানবো না’ বলে স্লোগান দিয়ে বের হয়ে যান।
