

অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই হয়েছে। কাজ পাগল জাপানীরা শুধু সময়ের আগেই নয়, ফেরতও দিয়েছে সেতু নির্মাণে বরাদ্দ হওয়া উদ্বৃত টাকা।
বাংলাদেশ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে তিনটি সেতু তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। সেতু তিনটি হল কাঁচপুর, গোমতী ও মেঘনা ২য় সেতু।
শুধু সেতু নয় তার সংগে আরো আনুষঙ্গিক কাজ সমস্ত কাজগুলির ব্যায় অনুমোদন হয় ৮৪৮৬ কোটি টাকা। এই বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার চুক্তি হয়েছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে৷
নির্মাণ কাজ পেয়েছিল জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ওবায়শি করপোরেশন, সিমিজু করপোরেশন এবং জে এফ ই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্য কাঁচপুর সেতু নির্ধারিত সময়ের নয় মাস আগে আর মেঘনা ও গোমতী সেতু সহ আনুষঙ্গিক সব নির্মাণ কাজ সাত মাস আগে শেষ করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।
সবচাইতে অবাক ঘটনা এই প্রথম বাংলাদেশ সরকার ফেরত পেল ৭০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৮৪৮৬ কোটি টাকা লাগেনি প্রকল্পে। টাকা খরচ হয়েছে ৭৭৮৬ কোটি টাকা।
জাপানি তিন কোম্পানি শুধু কাজই বুঝিয়ে দিল না সঙ্গে ৭০০ কোটি টাকা ফেরত দিয়ে দিল বাংলাদেশ সরকার কে। এই হল ওদের সততা।
জাপানি তিন কোম্পানির সংগে চুক্তি হয় ২০১৫ সালের ২৫শে নভেম্বর। চুক্তি অনুযায়ী কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে গাড়ি চলাচলের কথা। কিন্তু কাঁচপুর চালু হয়েছে মার্চ মাস থেকে আর মেঘনা গোমতী চালু হবে ২৫শে মে থেকে।
