সৌদিতে ভিক্ষার ঝুলি হাতে ৪৫০ জন ভারতীয় ডিটেনশন সেন্টারে

351

হাতে কাজ নেই। পেটে সামান্য দানাপানি জুটছে না। এমনকী কাজ করার অনুমতিটুকুও খুইয়েছেন। বিদেশ-বিভুঁইয়ে রুজি-রুটি হারিয়ে রাস্তায় ভিক্ষার ঝুলি হাতে বসতে বাধ্য হয়েছিলেন তারা। এক-দু’জন নয়, ৪৫০ জন। তাতেও যন্ত্রণা শেষ হয়নি সৌদি আরবে কর্মরত এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের। কোভিড পরিস্থিতিতে নিয়মভঙ্গের দায়ে তাদের চিহ্নিত করে সৌদি সরকার। রাতে ভাড়াবাড়িতে ফেরার পর তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ডিটেনশন সেন্টারে। আপাতত জেদ্দা শহরের শুমাইসি সেন্টারে দিন কাটছে বিপাকে পড়া শ্রমিকদের। তাদের মধ্যে ৩৯ জন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

ভারতের এক মিডিয়া প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের ফেরাতে ‘বন্দে ভারত মিশন’ চালু করেছিল ভারত সরকার। নাম লিখিয়েছিলেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। কিন্তু অবস্থাপন্ন ছাড়া উড়ানপথে ঠিক কতজন ভারতীয় দেশে ফিরেছেন, আরবের এই ছবি তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে। পরিস্থিতি আদতে কতটা ভয়াবহ, তা ফুটে উঠেছে সেন্টারে আটক এক শ্রমিকের কথায়।

আটক একজন বলেন, ‘আমরা তো কোনো অপরাধ করিনি। পেটে ভাত জুটছে না। তাই ভিক্ষা করতে বাধ্য হয়েছিলাম। এখন আমাদের ডিটেনশন সেন্টারে ধুঁকতে হচ্ছে।’

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলো, অন্যান্য দেশ থেকে আরবে আসা শ্রমিকেরা এমন ভুক্তভোগী নয়। আটকে পড়া এক ভারতীয় শ্রমিকের কথায়, ‘এখানে পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার অনেক শ্রমিক কাজ করতেন। সেই সব দেশের সরকার বিগত চার মাস ধরে সবাইকে ধাপে ধাপে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে। শুধুমাত্র আমরাই আটকা পড়েছি।’

সৌদি সরকার জানিয়েছে, যেসব শ্রমিকের ‘ওয়ার্ক পারমিট’ ছিল না, শুধু তাদেরই ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইতিমধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হয়েছেন তেলেঙ্গানার মজলিশ বাঁচাও তেহরিক দলের প্রধান আমজাদউল্লাহ খান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরিকে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। আমজাদের আর্জিতে নড়েচড়ে বসেছে ভারত সরকার। বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট হেল্পলাইন ‘প্রবাসী ভারতীয় সহায়তা কেন্দ্র’-এর তরফে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here