Saturday, 8 November 2025

[acf field="title_top"]

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন

[acf field="title_bottom"]

প্রকাশিত :

[acf field="reporter_name"]

[photo_card_and_fontsize]

[custom_ad id="2"]

নিজস্ব প্রতিনিধি

জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন মিরসরাই থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ ক্যাটাগরিতে এই পদক পাচ্ছেন মহান মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি ।

রোববার (১০ মার্চ) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ এই পদকপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করেছে। এবছর কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ ১৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মনোনীত স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ‘স্বাধীনতা পুরস্কার-২০১৯’-এর পদক তুলে দেয়া হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর গুণী ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এ দিয়ে আসছে সরকার। এটিই দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। পুরস্কারের মধ্যে থাকছে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্রের সঙ্গে দুই লাখ টাকা ।

তাঁর এই স্বীকৃতি মিরসরাই তথা চট্টগ্রামবাসীর জন্য আনন্দ ও গর্ভের। নিচে তাঁর জীবনীর উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরা হল:
চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ। ১৯৬২ সালে স্যার আশুতোশ কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাশ করেন। ১৯৬৬ সালে লাহোরের ইঞ্জিনিয়ারিং ও কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিএসসি সম্পন্ন করেন। লাহোরে অধ্যয়নকালে তিনি ছয় দফা আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন সময় মিছিল সমাবেশে সরাসরি নেতৃত্ব দেন। এসময় তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র পরিষদের সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফার যৌক্তিকতা তুলে ধরে লাহোরে পূর্ব পাকিস্তানে অধ্যয়নরত ছাত্রদের সংগঠন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র পরিষদের এক সমাবেশে তিনি সভাপতিত্ব করেন। দেশে ফিরে চট্টল শার্দুল এম. এ. আজিজের হাত ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে অতপ্রোতভাবে জড়িত হন। ১৯৭০ সালে তিনি সর্বপ্রথম তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।স্বাধীনতার পর তিনি ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং গত ৩০ ডিসেম্ভর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সংবিধান প্রণেতাদের মধ্যেও অন্যতম। ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদে তিনি বিরোধী দলীয় হুইপের এবং ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি গত সরকারে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করেছেন।
রাজনীতিতে আসার পর তিনি দলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ ও ৮৪ সালে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০০৪ এবং ২০১২ সালে সভাপতি এবং একই সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন সৎ, ভদ্র, নম্র, স্পষ্টবাদী ও উদার মনোভাবের মানুষ হিসেবে নিজ দলের নেতাকর্মীসহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের মানুষের নিকট তার সুনাম রয়েছে। রাজনীতি করতে গিয়ে এ সুদীর্ঘ সময়ে তিনি কখনও কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে আশ্রয় প্রশ্রয় দেননি এবং কোন সন্ত্রাসী লালন করেননি। তিনি কখনও নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করেননি। ১৯৭৫ পরবর্তী বিভিন্ন সরকারের মন্ত্রী পরিষদে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার আহবান তিনি দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং নিজ দলের আদর্শে অবিচল থেকেছেন সব সময়। রাজনীতি করতে এসে মুক্তিযুদ্ধসহ বহুবার তিনি জীবন মৃত্যুর মুখোমুখী হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ১৯৮০ সালে চট্টগ্রামের নিউমার্কেট চত্বরে তৎকালীন বিএনপি’র সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্তৃক তিনি এবং আওয়ামীলীগের অনেক নেতৃবৃন্দ আক্রান্ত হন। এসময় সন্ত্রাসীরা তাঁর পায়ের রগ কেটে দেয়। ১৯৮৮ সালে ২৪শে জানুয়ারী শেখ হাসিনার মিছিলে পুলিশ কর্তৃক গুলি চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করার ঘটনায় তিনিও মারাত্মকভাবে আহত হন। ১৯৯২ সালের ৮ মে ফটিকছড়িতে জামায়াত ক্যাডারদের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর আহত হয়ে অলৈাকিকভাবে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ : মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সেক্টর- ১ এর সাব-সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ২৬ মার্চের কালোরাত্রির নৃশংসতা ঠেকাতে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে সাহসী বীর বাঙালী যোদ্ধারা শুভপুর ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে কুমিল্লা থেকে আগমনকারী সেনাদলের পথ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। এবং চট্টগ্রাম শহর ও ক্যান্টনমেন্টের প্রধান প্রধান এলাকা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সিইনসি স্পেশাল ট্রেনিং নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন পরিচালনা করেন।

সর্বশেষ

মিরসরাইয়ে যুবদল নেতা আবু ছায়েদের উপর হামলা

  মিরসরাই প্রতিনিধি মিরসরাইয়ে আবু ছায়েদ নামে এক যুবদল নেতার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৫...

নির্বাচনকে ঘিরে মিরসরাইয়ে বিএনপির উঠান বৈঠক

  নিজস্ব প্রতিনিধি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মিরসরাইয়ে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার...

মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলীতে বিএনপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ...

মিরসরাইয়ে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত শীর্ষক ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

মিরসরাই প্রতিনিধি মিরসরাইয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত’ শীর্ষক ৩১ দফা...

আরও পড়ুন

মিরসরাইয়ে যুবদল নেতা আবু ছায়েদের উপর হামলা

  মিরসরাই প্রতিনিধি মিরসরাইয়ে আবু ছায়েদ নামে এক যুবদল নেতার উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৫...

মিরসরাইয়ের হিঙ্গুলীতে বিএনপি নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

মিরসরাই প্রতিনিধি: মিরসরাই উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ...

মিরসরাইয়ে খাল পরিস্কার করে পানি প্রবাহ সচল করলো যুবদল নেতা

মিরসরাই প্রতিনিধি মিরসরাইয়ের করেরহাট বাজারের উত্তর পাশে খালের উপর ময়লা আবর্জনা স্তূপের কারণে পানি প্রবাহ...