যাত্রী স্বল্পতার কারণে শুক্রবারও (৩ আগস্ট) তিনটি হজ ফ্লাইট বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ নিয়ে মোট ১০টি ফ্লাইট বাতিল করলো বিমান। কয়েক দিনের মধ্যে আরও কিছু হজ ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে নির্দিষ্ট ফ্লাইটের বাইরে সৌদি কর্তৃপক্ষ আর কোনো স্লট দেবে না বাংলাদেশকে। এতে সব হজযাত্রী পরিবহন নিয়ে তৈরি হচ্ছে শঙ্কা। এজন্য বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে টিকিট কিনতে এজেন্সিগুলোকে বারবার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
হজ এজেন্সি অব বাংলাদেশ (হাব) বলছে, ফ্লাইট বাতিল হওয়ার জন্য বিমান দায়ী। আর এর সমাধান বিমানকেই করতে হবে। আর বিমান বলছে এজেন্সিগুলোকে বারবার বলার পরও টিকিট কনফার্ম না করায় এ অবস্থা হয়েছে। দায় নিতে হবে তাদেরই।
বাংলাদেশ বিমান ও হজক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার যাত্রী স্বল্পতার কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের তিনটি ফ্লাইট বিজি৫০৬৩, বিজি১০৬৩ এবং বিজি৭০৬৩ বাতিল করা হয়েছে।
এদিন এ তিন ফ্লাইট বাদে বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৩টি ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ৫টি ফ্লাইট। একই অজুহাতে এর আগে আরও ৭টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়।
হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করেছে ধর্মমন্ত্রণালয়। রিপ্লেসমেন্টের জন্য শুক্রবারের মধ্যে আবেদন করতে হবে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে।
এ বিষয়ে হাব মহাসচিব শাহাদাত হোসেন তসলিম বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বাংলাদেশ বিমানকে হজযাত্রার আগেই হজ ওয়াইজ সব তথ্য দিতে বলেছি। কিন্তু তারা এজেন্সিকে কোনো তথ্য দেয় না। এখন বিমান যাত্রীর অভাবে ফ্লাইট বাতিল করছে। এজন্য তারাই দায়ী, এর দায়ভার তাদের নিতে হবে এবং সমাধান করতে হবে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা বিমানের ব্যবস্থাপনা বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিলাম। আমরা চেয়েছি সমন্বয় করে কাজ করতে। মদিনায় হজযাত্রীদের রাত্রিযাপনের সঙ্গে মিলিয়ে টিকিটের কথা জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের তথ্য দেয়নি। তাদের কারণে যেহেতু ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তাই বিমানকেই এর সমাধান করে সব যাত্রী পরিবহন করতে হবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) শাকিল মেরাজ বলেন, আজ পর্যাপ্ত হজযাত্রী না পাওয়ায় তিনটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। ওই ফ্লাইট তিনটির যাত্রীদের পছন্দমতো পরবর্তী যে কোনো ফ্লাইটে যুক্ত করা হবে।
হাবের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, হাব যে সব অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। আমরা ৫২৮টি এজেন্সিকে প্রতিনিয়ত ইমেইল করে জানিয়ে দিচ্ছি। তাদের বারবার করে টিকিট নিশ্চিত করার জন্য বলেছি। তারা টিকিট নিশ্চিত করলে কোনো ফ্লাইট বাতিল করা লাগতো না। এটা বলতে পারি এজন্য এজেন্সিগুলো দায়ী।