বাংলাদেশে পাঁচ লাখ ভারতীয় কাজ করতে পারলে ড. বিজন কুমার শীল কেন পারবেন না-এ প্রশ্ন করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
রোববার রাতে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে জয়েন্টভেনচার আছে। চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রের লোক আসছে কাজ করতে। ভারতের পাঁচ লাখ লোক বাংলাদেশে কাজ করে। তাহলে সে (বিজন কুমার শীল) কেন পারবে না?’
গত কয়েকদিনে গণমাধ্যমে তার সিঙ্গাপুর চলে যাওয়ার বিষয়ে যে খবর বেরিয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে দাবি করেন ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘কেন চলে যাবে? বাংলাদেশ সরকার যদি তাড়িয়ে দেয় সেটা ভিন্ন কথা।’
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘তার (ড. বিজন কুমার শীল) মতো লোক যদি চলে যায়, বাংলাদেশের অপূরণীয় ক্ষতি হবে, গবেষণা স্তিমিত হয়ে যাবে। আমাদের সবার সহযোগিতা করা উচিত, সে যেন দেশে কাজ করতে পারে।’
বাংলাদেশে কাজ করতে তার কোনো আইনি বাধা আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সে জন্মসূত্রে বাংলাদেশি। সিঙ্গাপুর দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করে না বিধায় সে দেশে কাজ করার সময় তার বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়েছিল। সিঙ্গাপুরের নাগরিক সারা পৃথিবীতে কাজ করতে পারে। তবে কাজ করতে হলে সংশ্লিষ্ট দেশের অনুমতি লাগে। আগস্টের ১০ তারিখ আমরা তার অনুমতির জন্য আবেদন করেছি।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে গেছে-এমন খবরও অস্বীকার করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের এখানে তার দুটি পদ আছে। সে আমাদের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং আমাদের ফার্মাসিউটিকালের প্রধান। তার মতো লোককে পাওয়া যেকোনো দেশের জন্য সম্মানজনক।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি আরও বলেন, ‘একটা শ্রেণি তাকে তাড়িয়ে দিতে চায়। এ দেশে ভালো কাজ তো করতে দেয় না। পাঁচ মাস আগে আমরা এন্টিবডি উদ্ভাবন করলাম, অথচ পারমিশন পাই না।’