ক্রীড়া প্রতিবেদক :
ভোটের আগে ক্রিকেট উৎসব সিলেটে। কিন্তু স্থানীয় ভক্তদের মনে দুরুদুরু। স্টেডিয়ামের টি-২০ আর টেস্ট অভিষেকে যে হেরেছে বাংলাদেশ দল। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে অপয়া নাম ঘুচবে কিনা কে জানে। লাক্কাতুড়া টিলা ঘেষা স্টেডিয়ামের জবাব, আমাকে একটা ওয়ানডে ম্যাচ দিয়েই দেখো। ওয়ানডে ম্যাচে পেয়ে তাই জয়ে ভাস্বর হয়ে থাকলো সিলেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয়ের উৎসব করল টাইগাররা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করেন দুই বাংলাদেশ ওপেনার। তামিম-লিটনের সাবাধানী শুরুতে ৪৫ রান তোলে দল। এরপর ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। পরে তামিম-সৌম্য গড়েন ১৩১ রানের বড় জুটি। দুরন্ত সব শট খেলা সৌম্য ফেরেন ৮০ রান করে। তবে তারে ব্যাটে ছিল সেই চেনা সেই সৌম্য ভাব। কেমো পলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে তার ৮১ বলের ইনিংসে পাঁচ চার ও পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।
এরপর শেষ তুলির আঁচড় দিয়ে ফেরেন তামিম-মুশফিক। দারুণ সাবধানী তামিম ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। সৌম্যর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে রান তুলছিলেন মধ্যে। কিন্তু শট খেলা সৌম্যকে রান তোলার সুযোগ দিয়ে ধীরে খেলেন তিনি। তার ইনিংস ছিল নয়টি চারে সাজানো। শেষ দিকে মুশফিক দুই চার ও এক ছয়ে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৯৮ রান। সফরকারীদের হয়ে হার না মানা ১০৮ রানের ইনিংস খেলেন শাই হোপ। এর আগের ম্যাচেও সেঞ্চুরি করেন তিনি। তবে অন্য ব্যাটসম্যানরা ভালো করতে না পারায় রান বড় হয়নি তাদের।
বাংলাদেশ বোলাররা অবশ্য শুরু থেকেই তাদের দারুণ চাপে রাখে। মেহেদি মিরাজ দলের হয়ে নেন ৪ উইকেট। এছাড়া মাশরাফি নেন ২ উইকেট। সাকিব আল হাসান নেন দুটি উইকেট। রুবেলের বদলে দলে আসা সাইফউদ্দিন নেন একটি উইকেট। দারুণ দুই সেঞ্চুরি করায় সিরিজ সেরা হন শাই হোপ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ম্যাচ সেরা মেহেদি মিরাজ।

