গণফোরাম-যুক্তফ্রন্টের জোট টেকে কি না-ওবায়দুল কাদেরের সংশয়

308


নিজস্ব প্রতিবেদক

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণফোরাম আর যুক্তফ্রন্টের ঐক্যের জন্য শুভকামনা। গণফোরাম আর যুক্তফ্রন্টের জোট নির্বাচন পর্যন্ত স্থায়ী হোক। তবে নির্বাচন পর্যন্ত এটি টেকে কি না, এটাই দেখার বিষয়।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবসের এক আলোচনায় ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন এলে নতুন নতুন মেরুকরণ হয়। নতুন নতুন ঐক্য হবে, এটাই স্বাভাবিক। যুক্তফ্রন্ট ও গণফোরাম যে ঐক্য গড়েছে, তা ইতিবাচক বিষয়। নির্বাচন পর্যন্ত এটি ঠিকে থাকে কি না, এটাই দেখার বিষয়।’ তিনি বলেন, নতুন জোট করে আন্দোলনের নামে কেউ যদি ২০১৪ সালের মতো আগুন-সন্ত্রাসের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।

মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার চায়। তারা যদি বিচার চাইত, তাহলে জজ মিয়া নাটক সাজাত না। বিচার চাইলে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড, এফবিআইকে গ্রেনেড হামলার তদন্ত করার সুযোগ দেওয়া হতো। বিএনপি বিচার চাইলে হত্যাকাণ্ডের সব আলামত ধ্বংস করে দিত না। তিনি আরও বলেন, ‘সাদেক হোসেন খোকা এখন যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। তিনি জানেন, কীভাবে আলামত ধ্বংস কারা হয়েছে।’

জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারের দাবি আওয়ামী লীগের নতুন কোনো দাবি নয়। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপের সময় ইভিএম ব্যবহারের দাবি করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ইভিএম ব্যবহারের দাবিতে এখনো অটল। বিএনপির ইভিএম নিয়ে এত অবিশ্বাস কেন?’ তিনি আরও বলেন, ‘গত তিনটি সিটি নির্বাচনের কয়েকটা কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করে এর অপরিহার্যতা বোঝানো হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ সারা বিশ্বে প্রশংসিত। ভারতেও বেশ কয়েকটি নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে হয়েছে। পৃথিবীর উন্নত দেশে ইভিএম ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানেও তা-ই হবে।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ার বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘নেত্রী (শেখ হাসিনা) আমাকে বলেছেন, আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের ক্ষুদ্র সমস্যার সমাধান করতে হবে। আর ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে হবে।’ দ্রুত মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের থানা ও ওয়ার্ড কমিটি দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আইনবিষয়ক সম্পাদক শ ম রেজাউল করিম, মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আখতার হোসেন প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আজিজুল হক।
#সূত্র প্রথম আলো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here