
জাকির নাইক। -ফাইল চিত্র।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মোহাথির মহম্মদ শুক্রবার দেশের প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজয়ায় সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন।
ভারতের সঙ্গে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে মালয়েশিয়ার। সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে মদত দেওয়া ও টেলিভিশনে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে জাকিরকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছিল মালয়েশিয়া সরকারকে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার গতকালই জানান, মালয়েশিয়া সরকারকে ওই অনুরোধ জানানো হয় গত জানুয়ারিতে। বিষয়টি মালয়েশিয়া সরকারের বিবেচনায় রয়েছে।
তারই প্রেক্ষিতে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘জাকির যত দিন না কোনও সমস্যার কারণ হয়ে উঠছেন, তত দিন তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। কারণ, জাকিরকে মালয়েশিয়ায় স্থায়ী বসবাসের অধিকার (পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি) দেওয়া হয়েছে।’’
২০১৬ সালে ঢাকার গুলশনে হামলাকারী জঙ্গিদের কয়েক জন জাকির নাইকের প্রচারে প্রভাবিত হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। নাইকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ইউএপিএ এবং ফৌজদারি দণ্ডবিধির নানা ধারায় নাইকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। তাঁর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। তার পরেই ভারত ছাড়েন নাইক।
সম্প্রতি কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে জাকির নাইক দেশে ফিরছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়। মালয়েশিয়ার একটি সূত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাতে মালয়েশিয়া থেকে ভারতের উদ্দেশে বিমানে রওনা দেন তিনি। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে কোনও খবর ছিল না। ফলে জাকির নাইকের প্রত্যাবর্তনের খবরে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছিল দেশ জুড়ে। বুধবার জাকির নাইক নিজেই জানিয়ে দেন, খবরটা পুরোপুরি ভুল। এখনই ভারতে ফিরছেন না তিনি।
বুধবার আইনজীবী দাতো সাহারুদ্দিনের মাধ্যমে এক বিবৃতি দিয়ে নাইক বলেন, ‘‘আমার দেশে ফেরার খবর সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং ভুয়ো। যত দিন না ভারত আমার জন্য সুরক্ষিত বলে মনে করব তত দিন ভারতে ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই আমার।’’
মালয়েশিয়া থেকে ৫২ বছর বয়সী নাইককে দেশে ফেরানোর চেষ্টা আগেও করেছিল দিল্লি। কিন্তু পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে তাঁর বিরুদ্ধে জারি করা রেড কর্নার নোটিস খারিজ করে দেয় ইন্টারপোল।