জোড়া সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বিসিবি একাদশের ড্র

561

 

ক্রীড়া প্রতিবেদক>>>

বাংলাদেশের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট শুরুর আগে জিম্বাবুয়ের প্রস্তুতিপর্বটা তেমন ভালো হলো না। বাংলাদেশের যুবাদের নিয়ে গড়া অনভিজ্ঞ বিসিবি একাদশই যে ভুগিয়ে ছেড়েছে সফরকারিদের। বিকেএসপিতে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচটা হয়েছে ড্র।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে জিম্বাবুয়ে। জবাবে বিসিবি একাদশ ৫ উইকেটে ২৮৮ রান তুললে ড্র মেনে নেয় দুই পক্ষ।

ড্র এই ম্যাচে জিম্বাবুয়ের প্রাপ্তি সম্ভবত শুরুর দিকে বোলিংয়ে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলা। মাত্র ৬৯ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে দ্বিতীয় দিনের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল সফরকারি দল। কিন্তু দিনের খেলা যতই সামনে গড়িয়েছে, ততই পিছিয়ে পড়ে তারা। ম্যাচের দখল নিয়ে নেয় বিসিবি একাদশ।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে জিম্বাবুয়ের বোলারদের রীতিমত ঘাম ছুটিয়ে ছেড়েছেন বিসিবি একাদশের অধিনায়ক আল আমিন জুনিয়র এবং অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জেতা ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান তামিম। দুজন মিলে গড়েন ২১৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি তুলে নেন তামিম, এরপর তার দেখানো পথে হেঁটেছেন আল আমিনও।

আক্রমণাত্মক ঢঙে ব্যাটিং শুরু করা তামিম হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছেছিলেন মাত্র ৪০ বলে, ২ চার ও ৫টি বিশাল ছক্কার মারে। ফিফটির পরেও ধরে রাখেন সাবলীল ব্যাটিং। সেঞ্চুরি করতে খেলেন মাত্র ৮৬ বল, ১০ বাউন্ডারি ও ৫ ছক্কার মারে পৌঁছে যান ব্যক্তিগত শতকে।

অথচ তামিমকে নামানো হয়েছিল সাত নম্বরে। কিন্তু তার সহজাত ব্যাটিং পজিশন ওপেনিং। নিজের চেনা ব্যাটিং পজিশনে না নেমেও স্বাভাবিক ব্যাটিংয়ের খানিক কৃতিত্ব আল আমিন জুনিয়রকেও দিতে পারেন তামিম। একপ্রান্ত আগলে রাখা ব্যাটিংয়ে শেষ পর্যন্ত ১০০ রান তুলে অপরাজিত থাকেন আল আমিন। ১৪৫ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান ১৬টি বাউন্ডারিতে।

প্রসঙ্গত, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচটিতে খেলানো হয়েছে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের ৬ ক্রিকেটারকে। এদের মধ্যে রান পাননি অধিনায়ক আকবর আলী (১), বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান জয় (১) এবং মিডল অর্ডারে আস্থার প্রতীক শাহাদাত হোসেন দীপু (২)। তবে দারুণ শুরু করেছিলেন একই দলের ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। ৩৪ রান করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here