আজ রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট বা আইইডিসিআর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে।
এ নিয়ে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৪৪ জন শনাক্ত হলেন।
আইইডিসিআর পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন, নতুন শনাক্তরা সবাই পুরুষ এবং এদের একজনের অন্যান্য রোগ রয়েছে।
ওই পাঁচজনের মধ্যে একজন বিদেশ থেকে এসেছিলেন, তিনজন বিদেশ থেকে আগতদের সংস্পর্শে এসেছিলেন আর বাকি একজনের ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধান চলছে বলে তিনি জানান।
নতুন রোগীদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২ জন এবং একজন ষাটোর্ধ্ব
তিনি বলেন, এর আগে আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন সুস্থ হয়েছেন।
গত ৮ই মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। এরপর ১৮ই মার্চ প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর।
বুধবার প্রথম সংস্থাটি জানায় যে ঢাকায় সীমিত আকারে কম্যুনিটি সংক্রমণ হচ্ছে বলে তারা সন্দেহ করছে।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, এতোদিন শুধু বিদেশ থেকে যারা আসছিলেন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছিল, তবে এখন থেকে তারা আরো বিস্তৃত উপায়ে নমুনা সংগ্রহ করা শুরু করবেন।
আইইডিসিআর ছাড়াও পরীক্ষা প্রসারিত করা হয়েছে বলছেন সেব্রিনা ফ্লোরা।
“একই পদ্ধতিতে পরীক্ষা হচ্ছে জনস্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান ও ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও চট্টগ্রামের বিআইটিআইতে এই কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই।”
মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর ছাড়া জেলা পর্যায়ে হটলাইন নম্বর দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক।
এর আগে বিদেশ থেকে এসেছেন এমন মানুষের সংস্পর্শে ছিলেন এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিলেন এমন মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করছিলেন বলে জানিয়েছেন।
এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে, এখন সময় কমানোর লক্ষ্যে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
“আমাদের টিম হাসপাতালে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসতো এখন হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাবে।