নিজস্ব প্রতিবেদক
পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ সাত নেতার অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টে ।
জামিন পাওয়া অন্য নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
আজ বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ ও বিচারপতি কাশেফা হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বিএনপি নেতাদের পক্ষে জামিন সংক্রান্ত আবেদন শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন জমা না দেয়া পর্যন্ত তাদের আগাম জামিন দেয়া হয়।
বিএনপি নেতাদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল প্রমুখ।
ইতোমধ্যেই এ মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটিরি এক সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও আইন সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন।
মামলায় পুলিশ বলছে, বিএনপি কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ৩০ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে। সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন।
মামলায় বলা হয়, বিএনপির এসব নেতার এমন বক্তব্যের পর ১ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে হাতিরঝিল থানার মগবাজার রেলগেট এলাকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল এবং জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের ৭০ থেকে ৮০ জন নেতাকর্মী জড়ো হন। তারা রাস্তায় যান চলাচলে বাধা দেন। পুলিশ জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের সড়ক অবরোধ না করতে অনুরোধ করে। কিন্তু পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে তারা পুলিশকেই হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। সেখানে দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং একটি বাস ভাঙচুর করা হয়। প্রতিরোধের চেষ্টা করলে তারা লাঠি দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মারধর শুরু করেন এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটান।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে— রাজধানীর মগবাজার রেলগেট এলাকায় রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন, পুলিশকে আক্রমণ করেছেন, যানবাহন ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধন করেছেন। জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে বাঁশের লাঠি, পেট্রোল বোমা, বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ, কাচের টুকরা ও ইটের টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে।