
মিরসরাই প্রতিনিধি
মিরসরাইয়ের সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য বেলায়েত হোসেন বেলাল সহ তিন জনকে দুই বছর করে কারাদন্ড এবং ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (৩০ আগষ্ট) হত্যা মামলার বাদিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় দায়েরকৃত একটি নন জিআর মামলায় চট্টগ্রামের ৫ম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মোস্তাকিম তাসিন এই আদেশ দেন। মামলার অপর আসামীরা হলেন একই ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলাম। ওইদিনই তিন আসামীকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান বলেন, মিরসরাইয়ের আলোচিত ইউপি সদস্য আবুল কাশেম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বেলায়েত হোসেন বেলাল ও অপর দুই আসামী নজরুল ইসলাম এবং সিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় বিজ্ঞ আদালত থেকে জামিন লাভ করেন। জামিন পেয়ে তারা এলাকায় গিয়ে অসহায় কাশেম মেম্বারের স্ত্রী বিবি ফাতেমা ও দুই সন্তানকে হত্যার হুমকি প্রদান করেন। তারা বাদীকে মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন। এই ঘটনায় স্থানীয় মিরসরাই থানায় নিহত আবুল কাশেমের স্ত্রী বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। জিডিটি তদন্তপূর্বক ননজিআর মামলা হয়ে বিজ্ঞ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এই মামলায় ৪ জন সাক্ষীর মধ্যে তিন জন সাক্ষী বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। বুধবার ( ৩০ আগস্ট) মামলাটি যুক্তিতর্ক ও রায়ের জন্য দিন ধার্য্য ছিলো। আদালত উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানী শেষে উপস্থিত রায়ে আসামীদের দুই বছর করে সাজা এবং প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন।
মামলার বাদী বিবি ফাতেমা বলেন, আমার স্বামী ৬ বারের নির্বাচিত ইউপি সদস্য ছিল। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে আমাদের নিঃস্ব করে ফেলা হয়েছিলো। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা আওয়াজও করতে পারছিনা। আমাদের মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে আসছিলো। মিরসরাই থানা ওসি কবির হোসেন ও তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনিসুর রহমান নিরপেক্ষ থেকে আমাদের ছায়া প্রদান করেন। আজকে ন্যায় বিচার পেয়ে আমরা অনেক অনেক আনন্দিত।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ মঘাদিয়া এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় ওই ইউনিয়নের ৬ বারের সাবেক সদস্য আবুল কাশেমকে। হত্যার ঘটনার তাঁর স্ত্রী বিবি ফাতেমা বাদি হয়ে শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বেলাল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
