
নিউজ ডেস্ক..
মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৯৪১ কোটি টাকা ব্যয়ে টেকনোলজি সেন্টার নির্মাণ করবে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬ বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। এরমধ্যে বিশ্ব ব্যাংক দিচ্ছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা । প্রকল্পের বাকি টাকা দেবে সরকার।
সোমবার (১ অক্টোবর) সকাল ১০টায় নগরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স সেন্টারে ‘স্টেকহোল্ডার কনসাল্টেশন মিটিং অন দ্যা প্রপোজড টেকনোলজি সেন্টার (টিসি) টু বি ইস্টাবলিস্ড এ্যাট মিরসরাই ইকনোমিক জোন ইন চিটাগাং’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ আমদানিমুখী দেশ থেকে রপ্তানিমুখী দেশে পরিণত হচ্ছে। এই রপ্তানির ৮০-৮২% পণ্যই তৈরি পোশাক শিল্পের। এরপর রয়েছে ওষুধ শিল্প। যথাযথ সহায়তা পেলে আরো অনেক সেক্টর রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে রপ্তানির নতুন দিক উন্মোচিত হতে পারে।
তিনি বলেন, এসব সেক্টরের মধ্যে প্লাস্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ফুটওয়্যার পণ্য রয়েছে। এসব পণ্য রপ্তানিকরণে সরকার বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ইসিজে (এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস) প্রজেক্টের মাধ্যমে মিরসরাই ইকোনমিক জোনে একটি টেকনোলজি সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই সেন্টারের মাধ্যমে দক্ষ জনবল ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মো. ওবায়দুল আজম বলেন, সরকার মিরসরাই ইকনোমিক জোনে ১০ একর জায়গায় একটি টেকনোলজি সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে । এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বিশ্ব ব্যাংক আমাদেরকে সহায়তা করছে। টেকনোলজি সেন্টারটি বাস্তবায়িত হলে প্লাষ্টিক, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, ফুটওয়্যার রপ্তানি পণ্য বহুমুখীকরণ, দক্ষ জনবল তৈরি এবং কারিগরি উন্নয়নের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
তিনি আরও বলেন, পাবলিক ও প্রাইভেট পার্টনারশীপের মাধ্যমে স্টেকহোল্ডারদের সকলের সহযোগিতায় পরিচালনা হবে টেকনোলজি সেন্টার। টিসি’র মাধ্যমে এক্সপোর্ট সাপোর্ট স্ট্রাকচার তৈরি করা হবে। উদ্যোক্তারা রপ্তানির সাপ্লাই চেইনে অন্তর্ভূক্ত হতে পারবে ।
বিশ্ব ব্যাংকের প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনা ফেরদৌস সুমি বলেন, রপ্তানির প্রতিযোগিতামূলক দক্ষতা বাড়ানো এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। দেশে এখন উন্নতমানের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ বাজারের জন্য পণ্যের মানোন্নয়ন অপরিহার্য। পণ্যের উৎপাদনে নতুন কারিগরি প্রযুক্তির সংযোজন, আন্তর্জাতিক বাজারের তথ্য সরবরাহ, পণ্য ব্র্যান্ডিং করা ও পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা এ টেকনোলজি সেন্টার থেকে প্রদান করা হবে।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডিটিও (অতিরিক্ত সচিব) ও প্রকল্প পরিচালক (ইসিফোরজে) মো. ওবায়দুল আজম, চেম্বার সহ-সভাপতি সৈয়দ জামাল আহমেদ, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ ও ওমর হাজ্জাজ, প্রাক্তন পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট হোসনা ফেরদৌস সুমি, বেজার ডেপুটি ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান, বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট মৃনাল কান্তি সরকার, প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. লৎফুর রহমান, ইপিবির পরিচালক কংকন চাকমা, বিসিকের প্রমোশন কর্মকর্তা তানিজা জাহান, প্রান্তিক গ্রুপের এমডি প্রকৌশলী গোলাম সরওয়ার, লুবরেফের পরিচালক সালাউদ্দিন ইউসুফ, ওসমানিয়া গ্লাস শীট ফ্যাক্টরী লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী সুদীপ মজুমদার, ইউনিভার্সাল রাবারের মিজানুর রহমান পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম ক্ষুদ্র পাদুকা শিল্প মালিক গ্রুপের মো. মঞ্জুর খান, বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মনির আহম্মদ, চামড়া ও চামড়াজাত, ফুটওয়্যার, প্লাষ্টিক ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীগণ।
