ক্রিজে আসার পর থেকে শট খেলতে শুরু করেন সাকিব। কিমো পলকে টানা দুই বলে মারেন বাউন্ডারি। কেসরিক উইলিয়ামসের এক ওভারে তুলে নেন তিনটি বাউন্ডারি।
দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান চতুর্থ উইকেটে ৫০ বলে গড়েন ৯০ রানের জুটি। ৩৮ বলে ৬০ রান করে ফিরেন সাকিব। ম্যাচ শেষে তামিম জানান, দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাটিং ছিল অবিশ্বাস্য। সাকিবের ঝড়ো শুরু সুর বেঁধে দিয়েছিল তাদের জুটির।
“সাকিব অবিশ্বাস্য এক ইনিংস খেলেছে। ও আমার ওপর থেকে চাপ অনেকটাই সরিয়ে নিয়েছিল। ক্রিজে আসার পর থেকেই ওকে খুব ভালো মনে হচ্ছিল। ওর শুরুর বাউন্ডারিগুলোতে আমরা মোমেন্টাম পেয়ে যাই।”
আগের ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের স্বাদ পাওয়া তামিম এবার শুরুতে ছিলেন সাবধানী। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে বাঁহাতি ওপেনার হন স্টাম্পড। বাঁচা-মরার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাই পরিকল্পনা ছিল, থিতু হয়ে বোলারদের ওপর চড়াও হওয়ার।
“সেন্ট কিটসে প্রথম শট খেলতে গিয়েই আউট হয়ে গিয়েছিলাম।…আজ আমি শুরুতে নিজেকে একটু সময় দিয়েছি, পরে তা কাজে লাগিয়েছি।”
ফ্লোরিডায় দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১২ রানে জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে সমতা এনেছে বাংলাদেশ। তামিম মনে করেন, সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে চাপে থাকবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
“অবশ্যই (চাপ এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওপর)। হয়তো প্রথম ম্যাচটা ভালো হয়নি, যেভাবে খেলা উচিত ছিল সেভাবে খেলতে পারিনি। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর সামর্থ্যে আস্থা সব সময়ই ছিল। আজকের ম্যাচ আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর একটা উদাহরণ।”
“দল হিসেবে যদি সবাই সবার দায়িত্ব পালন করি তাহলে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি। ওরা টি-টোয়েন্টিতে একটা বিশেষ দল, এই সংস্করণে বিশ্বের অন্যতম সেরা দলের বিপক্ষে জেতায় অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বেশি থাকবে।”
প্রথমবারের মতো তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। তামিম মনে করেন, সবাই নিজের দায়িত্ব পালন করলে জয় দিয়ে সিরিজ শেষ করা সম্ভব।
“কাল আবার নতুন খেলা হবে, যারা ভালো শুরু করবে, যারা সব বিভাগে ক্লিক করবে তারাই জিতবে। সিরিজ জিততে কাল আবার শুরু থেকে সব কাজ ঠিকঠাক করতে হবে। যাদের যে দায়িত্ব তা পুরোপুরি পালন করতে হবে।”