জান্নাতুল ফিরদাউস। বয়স মাত্র ৯ বছর। ঢাকার লালমাটিয়ায় অবস্থিত ওয়েটন ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড-টু’র ছাত্রী।প্রবল মেধা ও মুখস্থ বিদ্যা শক্তির অধিকারী জান্নাতুল ফেরদাউস মাত্র ১০ মাসে পবিত্র কুরআনুল কারিম মুখস্থ করে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
ওয়েটন ইন্টারন্যাশনাল ভর্তির পর থেকেই জান্নাতুলের মেধার স্বাক্ষর লক্ষ্য করেছেন শিক্ষকরা। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থী হলেও সে হেফজ শাখায় খুব মনোযোগী শিক্ষার্থী ছিল বলে জানান জান্নাতুলের শিক্ষক আনোয়ার মাহমুদ।
ওয়েটন ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের আরবী শিক্ষা শাখার বিভাগীয় প্রধান মাসুম বিল্লাহ বলেন,ওয়েটন স্কুলে গত দু’বছরে আমাদের ১৮ জন হিফজুল কোরআন শিক্ষার্থী কুরআন মুখস্থ শেষ করেছে, কিন্তু জান্নাতুলের মতো এত অল্প বয়সে এত অল্প সময়ে কেউ করতে পারেনি।আল্লাহ নিশ্চয় ওর মধ্যে বিশেষ কোনো মেধা দিয়েছেন। আমরা ওর সাফল্যে সত্যিই গর্বিত।মাসুম বিল্লাহ আরো বলেন, সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা হল যখন বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রকোপে বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ তখন আমাদের অনলাইনে হিফজ ক্লাসগুলোও জান্নাতুল অত্যন্ত মনোযোগের সাথে করায় দ্রুত পবিত্র কোরআরন মুখস্থ করতে পেরেছে।
শিশু জান্নাতুল ফিরদাউসের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে। তার বাবা কামাল পাশা গণমাধ্যম কর্মী,তিনি বৈশাখী টিভিতে কর্মরত আছেন। মা রাফিয়াতুল জান্নাত একজন গৃহিনী।
জান্নাতুল ফিরদাউসের পিতা কামাল পাশা জানান, ওয়েটন ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে বিনামূল্যে বিদেশী ভাষা শেখানোর সুযোগ রয়েছে। তাই সুযোগটা নিতে মেয়েকে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি আরবি ভাষা ও কোরআন শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ করি। কঠোর প্রচেষ্টায় মাত্র ১০ মাসে পবিত্র সে কোরআন মুখস্ত করে ফেলে।যার অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে লকডাউনের মাঝে। এজন্য ওয়েটন স্কুল কর্তৃপক্ষের কর্মপন্থা ও সহযোগিতার প্রশংসা করেন জান্নাতুলের বাবা।
জান্নাতুল ফিরদাউস ভবিষ্যতে আর্কিটেক প্রকৌশলী হতে চায়। পাশাপাশি এদেশের নারীদের কোরআনের হাফেজ হতে সহযোগিতা করার ইচ্ছা তার।