চট্টগ্রাম থেকে ৫৯ পদের সবজি উড়ে যাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের ৪ দেশে

178

 

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে গত তিন মাসে ৭০০ টনেরও বেশি সবজি রপ্তানি হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে। সবমিলিয়ে ৫৯ পদের সবজি চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। তবে দেশের সবজির বড় বাজার ইউরোপের দেশগুলোতে।

রপ্তানি হওয়া সবজির মধ্যে বাংলাদেশের গ্রীষ্মকালীন সবজিই গেছে বেশি। এর মধ্যে রয়েছে কচুর লতি, কচু, পটল, ঝিঙে, শসা, তিতকরলা, কাঁকরোল, বরবটি, শিম, লেবু, জলপাই, সাতকরা, লাউসহ আরও নানা সবজি। তবে শীতের শুরুতে অক্টোবর মাসে শীতকালীন সবজি গেছে সবচেয়ে বেশি।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর, উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র ছাড়াও সবজি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশের সবজির বড় বাজার মধ্যপ্রাচ্যের কাতার, সৌদি আরব, কুয়েত ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইউরোপের যুক্তরাজ্য, ইতালি ও ফ্রান্স। এ ছাড়া বাহরাইন, ওমান, মালয়েশিয়া, সুইডেন, কানাডা, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশেও কিছু সবজি রপ্তানি হয়।

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের স্ক্যানারে উঠছে সবজির চালান।
চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের স্ক্যানারে উঠছে সবজির চালান।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর— এই তিন মাসে মোট ৭০৪ টন সবজির রপ্তানিতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে দুই লাখ ৩২ হাজার ২৫০ টাকা।

উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক শৈবাল কান্তি নন্দী বলেন, করোনার সময়ের মধ্যে কার্গো রপ্তানি বন্ধ ছিল পুরোপুরি। ফ্লাইটে সবজি রপ্তানি চালু হয়েছে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে। ফ্লাইটে করেই কিছু সবজি রপ্তানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৭০৪ টন সবজি গেছে। এর মধ্যে সেপ্টেম্বরে ২৫৩ টন, অক্টোবরে ২৭৪ টন, নভেম্বরে ১৭৭ টন সবজি রপ্তানি হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর দিয়ে সেপ্টেম্বরে ৩১৬ টন, অক্টোবরে ৪০৭ টন এবং নভেম্বরে ২৫০ টন সবজি রপ্তানি হয়েছিল। অন্যদিকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যে সবজি রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ৪৫ টন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৬ টন আর এ খাতে রাজস্ব আয় হয় ৯ লাখ ১ হাজার ৭৩৪ টাকা।

শাহ আমানত বিমানবন্দরে সবজি রপ্তানিকারকের প্রতিনিধি লিটন চৌধুরী জানান, ‘বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন ধরনের কচু, কচুর লতি, কচুর ফুল, শিমের বিচি থেকে শুরু করে ৫৯ পদের সবজি রপ্তানি হয় মধ্যপ্রাচ্যে। এবার আমরা কচুর লতি, কচু, পটল, ঝিঙে, শসা, তিতকরলা, কাকরোল, বরবটি, শিম, লেবু, জলপাই, সাতকরা ও লাউ পাঠিয়েছি।’

চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নিয়োজিত কাস্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে ফ্লাই দুবাই, এয়ার এরাবিয়া ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্যাসেঞ্জার ফ্লাইটে সবজি পাঠানো হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে। করোনার কারণে এতোদিন বন্ধ ছিল সবজির চালান। এবার কিছু কিছু যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের আরও ব্যবসায়ী যদি এগিয়ে আসেন, তাহলে ফ্লাইটে এ ব্যবসার আরো বিস্তৃতি ঘটবে। তবে ফ্লাইটে সবজি পাঠানোর ক্ষেত্রে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়, যা আমাদের দেশের ব্যবসায়ীরা সচরাচর করতে চান না। তাই মধ্যপ্রাচ্যে এখনও আমাদের মার্কেট কম।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here