বৃহত্তর চট্টগ্রামে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক – নেতাকে মারধর ও চাঁদার জন্য চাপ সৃষ্টির অভিযোগ

190

নিজস্ব প্রতিনিধি

সীতাকুণ্ড আসনের সাংসদ দিদারুল আলম দিদারের বিরুদ্ধে পরিবহন শ্রমিক নেতাকে ‘মারধর’ এবং ‘চাঁদা দিতে হবে’ বলে চাপ সৃষ্টির অভিযোগ এনে ৪৮ ঘন্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। তবে সাংসদ দিদার এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ১৪ জানুয়ারি ভোর ৬টা থেকে ১৬ জানুয়ারি ভোর ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালিত হবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগ করা হয়, ‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০ টায় এমপি দিদারুল আলম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ ও অলংকার থেকে সীতাকুণ্ড রুটে চলাচলকারী ৮নং রুটের মালিক সমিতির নেতাদের বাসায় ডাকেন। এ সময় অলঙ্কার থেকে সীতাকুণ্ড রুটে গাড়ি চলাচলের নিয়ন্ত্রণ তাকে ছেড়ে দিতে বলেন তিনি। মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ট্রেড ইউনিয়নের আইন ও শ্রমিকদের অর্পিত দায়িত্ব শ্রমিকের মতামত ছাড়া ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানালে তিনি তাকে প্রতিমাসে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে চাপ সৃষ্টি করেন। এক পর্যায়ে তিনি ৮নং রুটে মালিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলমকে নিজ হাতে মারধর শুরু করেন। এই ঘটনার কারণ জানতে চাইলে এমপি দিদারুল আলম উত্তেজিত হয়ে শ্রমিক নেতা অলি আহমদের দিকে তেড়ে গিয়ে তাকেও মারধর করেন। প্রয়োজনে রিভলবার দিয়ে গুলি করে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন।’
সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এর প্রতিবাদে গতকাল বিকালে সংগঠনের এক জরুরি সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে আগামী সোমবার ভোর ৬টা থেকে বুধবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলা চট্টগ্রাম, কঙবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় ৪৮ ঘন্টা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘট পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেডারেশনের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ মুছা ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট ডাকার বিষয়টি আজাদীকে নিশ্চিত করেছেন। ‘চাঁদার জন্য চাপ সৃষ্টি’ ও মারধরের অভিযোগে সভায় ধর্মঘটের সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হাজী রুহুল আমিন, রবিউল মওলা, হাজী আবদুস ছবুর, আবু বক্কর ছিদ্দিকী, হাজী আবদুল নবী লেদু, বোরহানুল হক, জহিরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম, মো: হারুন, জাহেদ হোসেন, শফি, হারুনুর রশিদ, নূর হোসেন, নুরুল ইসলাম, ইউসুফ, জামাল, প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here