মর্মান্তিক!

177

নিজস্ব প্রতিবেদক
মায়ের সঙ্গে খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে খেলছিল শিশু জাওয়াদ। দুপুরে মাও কর্মব্যস্ত। কলেজ শিক্ষক বাবা কর্মস্থলে। একসময় বারবার ডাকাডাকি করে জাওয়াদের সাড়া-শব্দ না পেয়ে মা এদিক-ওদিক খুঁজতে থাকেন। চোখ যায় বাথরুমের দিকে। সেখানে বালতিতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে জাওয়াদ। এগিয়ে গিয়ে দেখেন প্রিয় সন্তানের নিথর দেহ। মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজনও এগিয়ে আসেন। ফেনী ডায়াবেটিক হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। ততক্ষনে খবর পেয়ে বাবাও ছুটে আসেন। তবুও মন মানেনা। সন্তানকে নিয়ে ছুটে যায় আধুনিক সদর হাসপাতালে। একইকথা বলেন এখানকার ডাক্তাররাও। খবর পেয়ে সহকর্মী ও স্বজনরা ভীড় জমান। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরের শহরের মিজান রোডের গ্র্যান্ড হক টাওয়ারে। ওই টাওয়ারের ৮ম তলায় স্বপরিবারে থাকেন মহিপাল সরকারি কলেজের খন্ডকালীন প্রভাষক হাসান মাহফুজ। তার ৪ বছর বয়সী আরেকটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জানা গেছে, দুপুরে বাসায় খেলার সময় ছোট্ট বলটি বালতিতে পাড়ে যায়। বলটি তুলতে গিয়েই শিশু জাওয়াদ উপুড় হয়ে পড়ে। বালতিতে থাকা পানিতে তার নাক-মুখ ডুবে গিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
পরিবার সূত্র জানায়, গতকাল মাহফুজের বাবা হজ্ব পালন শেষে দেশে ফেরার কথা। এর আগেই প্রিয় নাতির মৃত দেহ দাফন করা হয় দাগনভূঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে। বিকালে ১৬ মাস বয়সী শিশু জাওয়াদের লাশ গ্রামে নেয়া হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। স্বজনদের আহাজারিতে পাড়া-প্রতিবেশীরাও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। সেখানে বাদ আসর শাহ সুফি সদর উদ্দিন মাজার মসজিদের সামনে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here