মিরসরাই প্রতিনিধি
আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, শুভ্রকাশ ফুল আর শিউলি ফুলের গন্ধে জানান দিচ্ছে শরতের আগমন। শরতে উদ্যাপিত হচ্ছে সনাতনী সম্প্রদায়ের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয়া দূর্গাপূজা। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সোমবার সূচনা ঘটেছে এই উৎসবের। পাঁচ দিনের এ উৎসব শেষ হবে ১৯ অক্টোবর শুক্রবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে। এ ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে মিরসরাইয়ের ৮৪ পূজা মন্ডপে এখন উৎসবের আমেজ বইছে। পূজা উপলক্ষে প্রতিটি মন্দিরে বাড়তি আলোকসজ্জার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া থাকবে বাড়তি নিরাপত্তা। প্রতিটি বাড়িতে তৈরি করা হয় নারিকেলের নাড়–-সহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার। প্রতি বছরের মতো এবারও মিরসরাইয়ের ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার ৮৪টি মন্ডপে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে শারদীয়া দূর্গাপূজা উদ্যাপন করা হবে।
মিরসরাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এবছর মিরসরাইয়ে ৮৪টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ৭৯টি মন্ডপে প্রতিমা ও ৫টি মন্ডপে ঘট পুজা (প্রতিমাবিহীন) হবে। পূজামন্ডপ গুলোতে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। দুইটি থানার অধীনে পূজামন্ডপ গুলোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৮৪টি পূজামন্ডপের মধ্যে ৪৬টি পূজামন্ডপের নিরাপত্তার দায়িত্ব থাকবে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। বাকিগুলোতে থাকবে মিরসরাই থানা পুলিশ।
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জের দেওয়ানপুর গ্রামে সবচেয়ে বেশি দুটি ঘটপূজা সহ ১০টি পূজা হয়। জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পূজা কমিটির সভাপতি বাবুল সেন জানান, ১৪ অক্টোবর মহাপঞ্চমীতে দেবীর বোধনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসবের শুরু পরদিন মহাষষ্ঠী পূজা থেকে মন্ডপে মন্ডপে বেজে উঠেছে ঢাকঢোল আর কাঁসার শব্দ। ১৯ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতনীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসব।
মিরসরাই পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ সরকার ও সাধারণ সম্পাদক সজল শীল জানান, এবছর মিরসরাইয়ে ৮৪টি পূজামন্ডপে দূর্গা পূজা উদ্যাপন হচ্ছে। তবে এবার কোনো পূজামন্ডপ ঝুঁকিপূর্ণ নয়। ইতিমধ্যে পূজা উদ্যাপন পরিষদ প্রশাসন ও কমিটির সাথে কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক সভা সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপির সাথেও পূজা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইফতেখার হাসান জানান, জোরারগঞ্জ থানার অধীনে ৪৬টি পূজামন্ডপ রয়েছে। দূর্গা পূজা উপলক্ষে ৩ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পূজামন্ডপের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘেœ পালন করতে সব মন্ডপে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। পূজামন্ডপের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।